নতুন বছর সামনে রেখে পরিকল্পনার তো শেষ নেই। নতুন বছরে অনেকেই নতুন কিছু শিখতে চান। সেসবের তালিকা তৈরি করতে করতে দিন কাটছে অনেকের। তাই জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কোনো কিছু খুব দ্রুত আর সহজেই শিখে ফেলবেন।

এটাকে বলে ‘ইন্টারলিভিং’ পদ্ধতি। মাত্র একটি বিষয়ের ওপর একটানা লেগে থাকার বদলে ওই বিষয়–সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় বা দক্ষতা একসঙ্গে শিখুন। এতে মস্তিষ্ক বিভিন্ন ধারণা আলাদা করতে ও ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।
এই পদ্ধতি পড়া মনে রাখা বা যেকোনো কিছু দ্রুত শেখার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। আর এই পদ্ধতিতে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন না। প্রতিবার ‘এনার্জি’ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবেন। তবে এই বিরতিতে ফোন হাতে নেওয়া চলবে না। তাহলে আরও ২৫ মিনিট যে কীভাবে কেটে যাবে, টেরই পাবেন না!
আপনি যদি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন বা অন্য কোনো ডিজিটাল স্ক্রিনে চোখ রেখে কাজ করেন, তাহলে এই পদ্ধতি আপনার জন্য প্রযোজ্য। আমাদের চোখ যখন খুব কাছের কিছু দেখতে থাকে, তখন চোখের পেশিতে চাপ পড়ে বেশি।
তাই প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে আপনাকে অন্তত ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতেই হবে। এতে চোখের বিশ্রাম হবে। একবারে চোখে অনেক চাপ পড়বে না।
আপনার লক্ষ্যকে ঘণ্টা, দিন, মাস, বছরে ভাগ করে ফেলুন। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে এগিয়ে যান। বাস্তবসম্মত লক্ষ্য রাখুন, যা আপনার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব। ‘বেবি স্টেপ’ দিয়ে শুরু করুন। লক্ষ্যে শৃঙ্খলা আনুন। ধারাবাহিক থাকুন।
কিছু শেখার জন্য হাতে সময় কম থাকতে পারে আপনার। তাই যদি মনে করেন, একটু কম ঘুমিয়ে সময়টা পুষিয়ে নেবেন, তাহলে আপনি ভুলের দুষ্টচক্রে পা দেবেন। শরীর আর মনের ওপর চাপ যাবে ঠিকই, কাজের কাজ কিছুই হবে না।
স্মৃতি স্থায়ী করতে, শিখতে ও সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে ঘুম আবশ্যক। আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন, তখন মস্তিষ্ক তথ্যপ্রক্রিয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। আপনাকে পরদিনের জন্য ভালোভাবে তৈরি করে। তাই আট ঘণ্টা ঘুমের সঙ্গে কোনো আপস নয়।
ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্য নয়, মস্তিষ্কের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে কার্ডিও আর ওয়েট ট্রেনিং মনোযোগ ধরে রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, মনমেজাজ ভালো রাখতে খুবই কার্যকর। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। নতুন স্নায়ু সংযোগ গড়ে ওঠে, ফলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। আর দ্রুত শেখা সহজ হয়।
অন্যকে শেখালে আপনার শেখাটা স্থায়ী হয়। আবার শেখার ক্ষেত্রে একজন সঙ্গীও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটা সুস্থ প্রতিযোগিতার ফলেও আপনি শিখতে উদ্বুদ্ধ হন। আবার সঙ্গীকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে বসে কতটা এগোলেন, তা জানাতে বসলে হিসাব মেলানো সহজ হয়; লক্ষ্যে পৌঁছাতে উদ্বুদ্ধ করে।
সূত্র: আইএনসি