
ভারতের এশিয়া কাপের দলে শ্রেয়াস আইয়ারের জায়গা না হওয়ায় খুবই হতাশ তাঁর বাবা সন্তোষ আইয়ার।
আর কী করলে টি–টোয়েন্টি দলে ডাক পাবেন শ্রেয়াস আইয়ার? ভারতের এশিয়া কাপের দলে আইয়ারের জায়গা না হওয়ার পর থেকে এই প্রশ্ন দেশটির অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর। কিন্তু উত্তরটা আসলে কারোরই জানা নেই।
শ্রেয়াস আইয়ারের বাবা সন্তোষ আইয়ারও বিষয়টি নিয়ে খুব হতাশ। দারুণ ছন্দে থাকার পরও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ছেলের ঠাঁই না হওয়া নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সন্তোষ বলেছেন, ‘জানি না, ভারতের টি–টোয়েন্টি দলে ঢুকতে শ্রেয়াসকে আর কী করতে হবে।’
আইপিএলে ছেলের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরে সন্তোষ বলেন, ‘দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে পাঞ্জাব কিংস—বছরের পর বছর সে আইপিএলে খুব ভালো পারফর্ম করে যাচ্ছে, তা–ও আবার অধিনায়ক হিসেবে। গত বছর ওর অধিনায়কত্বে কলকাতা আইপিএলে শিরোপা জিতেছে এবং এ বছর পাঞ্জাব ওর নেতৃত্বে ফাইনালে খেলেছে।’
ওয়ানডে দলের নিয়মিত মুখ আইয়ার ভারতের হয়ে সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৩৭ বলে ৫৩ রান করেন আইয়ার, যা ছিল ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ। পরে তাঁকে আর টি–টোয়েন্টি দলে দেখা যায়নি।
অথচ গত দেড় বছরে ভারতের সব ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় পারফর্ম করেছেন আইয়ার। গত বছর কলকাতাকে আইপিএল, মুম্বাইকে রঞ্জি ট্রফি, সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি ও ইরানি কাপ জেতাতে বড় অবদান রাখেন। এ বছর ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। এমনকি সর্বশেষ আইপিএলেও ১৭৫.০৭ স্ট্রাইক রেটে ও ৫০.৩৩ গড়ে করেন ৬০৪ রান, যা পাঞ্জাবের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাঁর অধিনায়কত্বেই ১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠেছিল পাঞ্জাব।
এমন পারফরম্যান্সের পরও ভারতের এশিয়া কাপের স্কোয়াডে তো নয়–ই; এমনকি রিজার্ভ দলেও জায়গা হয়নি আইয়ারের। তাঁর বাবা সন্তোষের দুঃখটা এখানেই সবচেয়ে বেশি, ‘আমি বলছি না যে ওকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক বানাও, কিন্তু অন্তত ওকে দলে রাখো। দল থেকে বাদ পড়লেও সে একবারের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেনি। শুধু বলেছে, “এটাই আমার কপাল। কিছুই করার নেই।” সে সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখে। সে কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু ভেতরে–ভেতরে কিছুটা হলেও হতাশ।’
এদিকে ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফের দাবি, দারুণ ফর্মে থাকা শ্রেয়াস আইয়ারকে এশিয়া কাপের দলে না রেখে ভারতের নির্বাচক কমিটি ও টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর প্রতি অবিচার করেছে।
আইয়ারকে না রাখা দিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারও স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি। আগারকার বলেছেন, ‘শ্রেয়াসের ব্যাপারে বলতে গেলে...এটা না তার দোষ, না আমাদের। আসল বিষয় হলো দলে মাত্র ১৫ জনের জায়গা হয়। আর এই মুহূর্তে তাকে সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ শুরু আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পরদিন স্বাগতিক আরব আমিরাতকে দিয়েই শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামবে ভারত।