এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথম ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল আজ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচ।
টি–টোয়েন্টির এক নম্বর দল ভারত আছে দুর্দান্ত ফর্মে। গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে ছয় ম্যাচেই অপরাজিত ছিল দলটি। অন্যদিকে বিশ্বের সাত নম্বর দল পাকিস্তান ছয় ম্যাচে হেরেছে দুটিতে—দুটিই ভারতের বিপক্ষে।
আজ দুই দলের তৃতীয় সাক্ষাতেও কি আগের ফল হবে, না কাগজ–কলমের সব হিসাব উড়িয়ে দিয়ে শেষ হাসি হাসবে সালমান আগার পাকিস্তান?
ফাইনালে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্ব ও ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের ম্যাচের মতো আজও টসের সময় হাত মেলাননি দুই অধিনায়ক। সূর্যকুমার যাদব টসের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েই পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমানের পাশ থেকে সরে গেছেন।
অবাক করার মতো ব্যাপার হলেও সত্যি, আজ টস পরিচালনা করেছেন দুজন—ভারতের রবি শাস্ত্রী ও পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস। রবি শাস্ত্রী কথা বলেছেন সূর্যকুমারের সঙ্গে, ওয়াকার ইউনিস কথা বলেছেন সালমানের সঙ্গে।
ভারতের জন্য বড় ধাক্বাই বলা যায়। চোটের কারণে ফাইনালে নেই তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর জায়গায় খেলছেন রিংকু সিং। এ ছাড়া ভারত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে আরও দুটি পরিবর্তন এনেছে। দুই পেসার অর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানা বাদ পড়েছেন। একাদশে ফিরেছেন যশপ্রীত বুমরা ও শিবম দুবে।
ভারতের একাদশ: অভিষেক শর্মা, শুবমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক বর্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), শিবম দুবে, রিংকু সিং, অক্ষর প্যাটেল, যশপ্রীত বুমরা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
যে দল নিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাকিস্তান ফাইনালে উঠেছে, আজও সেই দলের ওপর তারা আস্থা রেখেছে।
পাকিস্তানের একাদশ: সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, আগা সালমান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
পাকিস্তান: ১ ওভারে ৪/০
হার্দিক পান্ডিয়া নেই। তাই ফাইনালের শুরুতে বোলিংয়ে এসেছেন আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার শিবম দুবে। তাঁর ওভারের পঞ্চম বলে মিড অনের ওপর দিয়ে চার মেরেছেন পাকিস্তান ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। বাকি পাঁচ বল থেকে তিনি কোনো রান নিতে পারেননি।
পাকিস্তান: ২ ওভারে ১১/০
বোলিংয়ে এসেছেন যশপ্রীত বুমরা। তাঁর ওভারেরও পঞ্চম বলে চার মেরেছেন ফারহান। এই ওভার থেকে এসেছে ৭ রান।
পাকিস্তান: ৪ ওভারে ৩২/০
এবারের এশিয়া কাপে বুমরাকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন ফারহান। ভারত–পাকিস্তানের আগের দুই ম্যাচের মতো আজ ফাইনালেও বুমরার ওপর চড়াও হয়েছেন পাকিস্তানি ওপেনার। ওভারের প্রথম বলে চারের পর তৃতীয় বলে ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তান: ৬ ওভারে ৪৫/০
বোলিংয়ে এসেছেন ভারতের স্পিনাররা। পাকিস্তান ইনিংসের পঞ্চম ওভার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার করলেন অক্ষর প্যাটেল। এই দুই ওভার থেকে এসেছে ১৩ রান। পাওয়ারপ্লেতে খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও পাকিস্তান কোনো উইকেট হারায়নি।
পাকিস্তান: ৭ ওভারে ৫৬/০
এবারের এশিয়া কাপে নিজেদের উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রান করে ফেলল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে ৪৫ রানের জুটি পেরিয়ে আজ দলীয় ফিফটিও পার করেছেন দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান।
পাকিস্তান: ৯ ওভারে ৭৭/০
এশিয়া কাপে নিজের দ্বিতীয় ও আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পঞ্চম ফিফটি পেয়ে গেলেন সাহিবজাদা ফারহান। টুর্নামেন্টে তাঁর দুটি হাফ সেঞ্চুরিই ভারতের বিপক্ষে। কুলদীপ যাদবের ওভারের চতুর্থ বলে ২ রান নিয়ে ফিফটি পূরণ করেছেন ফারহান। এর আগে ফখর দ্বিতীয় বলে মেরেছেন ছক্কা।
পাকিস্তান: ১০ ওভারে ৮৭/১
ফিফটির পর বেশি দূর এগোতে পারলেন না ফারহান। ৫৭ রানে তাঁর আউটে ভাঙল পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। বরুণ চক্রবর্তীর ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মারার পর চতুর্থ বলেও বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়লেন তিলক বর্মার হাতে।
ফারহান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সাইম আইয়ুব।
পাকিস্তান: ১১ ওভারে ৯৮/১
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের আগের ছয় ম্যাচের চারটিতেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন সাইম আইয়ুব। তবে আজ তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। বোলিংয়ে ফেরা শিবম দুবের এই ওভারে দুটি চার মেরেছেন আইয়ুব।
পাকিস্তান: ১২ ওভারে ১০৭/১
ফাইনালে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেছেন তিলক বর্মা। তাঁর ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরেছেন ফখর জামান। এই শটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১০০ পেরিয়েছে।
পাকিস্তান: ১৩ ওভারে ১১৩/২
ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েও পারলেন না সাইম আইয়ুব। কুলদীপের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বুমরার হাতে ধরা পড়লেন তিনি। করতে পারলেন ১১ বলে ১৪ রান।
পাকিস্তান: ১৪ ওভারে ১১৮/৩
ব্যাটিংয়ে নামতে না নামতেই আউট মোহাম্মদ হারিস (২ বলে ০)। পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অক্ষর প্যাটেলের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে তুলে মেরেছিলেন। কিন্তু ক্যাচ গেল সরাসরি লং অফে দাঁড়ানো রিংকু সিংয়ের হাতে।
পাকিস্তান: ১৫ ওভারে ১২৮/৪
‘মোমেন্টাম’ হারিয়ে ফেলছে পাকিস্তান। এবার আউট হলেন ফখর জামান। ৪৬ রানে থাকতে বরুণের বলে চার মেরে ফিফটি পূরণ করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার। কিন্তু ব্যাটের কিনারায় লেগে বল গেল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো কুলদীপের হাতে।
পাকিস্তানের ইনিংসে যেন মড়ক লেগেছে। ১১৩/১ থেকে ১৩৩/৬–এর দলে পরিণত হয়েছে তারা। মাত্র ২০ রান যোগ করতেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। ফখর জামানের পর আউট হয়েছেন হুসেইন তালাত ও অধিনায়ক আগা সালমান।
এক ওভারে এলবিডব্লুর দুটি ভুল সিদ্ধান্ত দিলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল। দুটিতেই রিভিউ নিলেন শাহিন আফ্রিদি। প্রথমটিতে পার পেলেও দ্বিতীয়টিতে শেষ রক্ষা হলো না। কুলদীপের বলে পড়লেন এলবিডব্লুর ফাঁদে (৩ বলে ০)।
পাকিস্তান: ১৭ ওভারে ১৩৪/৮
ফাইনালে নিজের শেষ বলে উইকেট পেলেন কুলদীপ যাদব। আফ্রিদিকে এলবিডব্লুির ফাঁদে ফেলার এক বল পরেই ফেরালেন ফাহিম আশরাফকে (২ বলে ০)। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ যেন হুড়মুড়িয়ে পড়ছে!
বোলিংয়ে ফিরেছেন বুমরা। তাঁর দ্বিতীয় বলে চার মেরেছিলেন হারিস রউফ। তবে চতুর্থ বলেই ইয়র্কারে রউফের স্টাম্প উড়িয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিলেন বুমরা।
শুধু কি তাই? গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিং করার সময় বিমান ভূপাতিতের অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন রউফ। বুমরা আজ একই রকমভাবে উদ্যাপন করলেন।
ফারহান–ফখরের উদ্বোধনী জুটি দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলাবলি হচ্ছিল, ভারতকে ২০০ রানের লক্ষ্য দেবে পাকিস্তান।
কিন্তু ২০০ দূরে থাক; ১৫০ রানও করতে পারল না আগা সালমানের দল। ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতেই অলআউট হলো ১৪৬ রানে।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। তিনিও বুমরার শিকার।
নবমবারের মতো এশিয়ার সেরা হতে ভারতের দরকার ১৪৭ রান।
০, ৮, ১, ৬, ০, ০, ৬, ১—পাকিস্তানের শেষ আট ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি! দলটি শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৩৩ রানে।
পাকিস্তান: ১৯.১ ওভারে ১৪৬ অলআউট (ফারহান ৫৭, ফখর ৪৬, আইয়ুব ১৪; কুলদীপ ৪/৩০, বুমরা ২/২৫, অক্ষর ২/২৬, বরুণ ২/৩০)।
ভারত: ১ ওভারে ৭/০
শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে ব্যাটিং করা তাঁর অভ্যাস। ফাইনালেও নিজের মুখোমুখি হওয়ার দ্বিতীয় বলেই শাহিন আফ্রিদিকে চার মারলেন অভিষেক শর্মা।
ভারত: ২ ওভারে ১০/১
এশিয়া কাপজুড়ে বোলারদের আতঙ্ক হয়ে থাকা অভিষেক শর্মা ফাইনালে ব্যর্থ হলেন। পরম কাঙ্ক্ষিত উইকেটটা নিয়ে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ওভারেই স্বস্তি এনে দিলেন ফাহিম আশরাফ।
অভিষেক বোকা বনে গেলেন আশরাফের স্লোয়ারে। তাঁর ১১১ কিমি/ঘণ্টার কাটার পড়তে পারলেন না অভিষেক। মিড অনে ধরা পড়লেন হারিস রউফের হাতে।
অভিষেক আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
ভারতের জোড়া ধাক্কা। এবার আউট অধিনায়ক সূর্যকুমার। আফ্রিদির স্লোয়ার বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন সূর্য। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করতে ফেললেন। মিড অফ থেকে এগিয়ে এসে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান।
ভারত: ৩ ওভারে ১২/২
কয়েকটি বাতি নিভে যাওয়ায় খেলা মিনিট পাঁচেক বন্ধ ছিল। এখন আবার খেলা শুরু হয়েছে।
ভারত: ৪ ওভারে ২০/৩
স্লোয়ারগুলোকেই অস্ত্র বানাচ্ছেন পাকিস্তানের পেসাররা। এতেই ‘ধরা খাচ্ছেন’ ভারতের ব্যাটসম্যানরা। আশরাফের কাটারে আউট হলেন শুবমান গিল। মিড অনে লাফিয়ে উঠে দারুণ ক্যাচ নিলেন রউফ। ৪ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে ভারত।
ভারত: ৬ ওভারে ৩৬/৩
ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ফিরিয়ে ফাইনাল জমিয়ে তুলেছে পাকিস্তান। আফ্রিদি ও আশরাফ পাওয়াপ্লেতে ৩ ওভার করে বোলিং করেছেন। যদিও পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ভালো করতে পারেননি আশরাফ। এই ওভারে তিনি তিলক বর্মার কাছে একটি করে চার–ছক্কা খেয়েছেন।
চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতের দরকার ৮৪ বলে ১১১ রান।
ভারত: ৯ ওভারে ৫৪/৩
বড় সুযোগ হাতছাড়া করলেন হুসেইন তালাত। আবরার আহমেদের বলটা তুলে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি সঞ্জু স্যামসন; ক্যাচ তুলেছিলেন। কিন্তু ডিপ মিড উইকেট থেকে ছুটে এসে বল মুঠোবন্দী করতে চেয়েও ফেলে দিলেন তালাত।
ভারত: ১০ ওভারে ৫৮/৩
দুই প্রান্ত থেকেই বোলিং করছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। তিলক বর্মা ও সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় ভারত। ইনিংসের দশম ওভার করেছেন সাইম আইয়ুব। তিনি দিয়েছেন ৪ রান।
চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতের দরকার ৬০ বলে ৮৯ রান।
ভারত: ১৩ ওভারে ৭৮/৪
কয়েক ওভার আগে আবরারের বলে ‘জীবন’ পেয়েছেন স্যামসন। তবে সুযোগ পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না।
সেই আবরারের বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করলেন স্যামসন। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিলেন সাহিবজাদা ফারহানের হাতে।
স্যামসন আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন শিবম দুবে।
চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতের দরকার ৪২ বলে ৬৯ রান।
ভারত: ১৫ ওভারে ১০০/৪
বোলিংয়ে ফিরে ‘বেদম পিটুনি’ খেলেন রউফ। এই ওভার থেকে এল ১৭ রান। শিবম দুবে একটি চার মারার পর তিলক বর্মা মেরেছেন একটি করে চার ও ছক্কা। ওভারের শেষ বলে তিলকের ছক্কায় ১০০ স্পর্শ করেছে ভারত।
ভারত: ১৬ ওভারে ১১১/৪
তীব্র চাপের মধ্যে নেমেছিলেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে পাকিস্তানকেই চাপে ফেলেন দিলেন তিলক বর্মা। আবরার আহমেদ নিজের শেষ ওভারে দিলেন ১১ রান।
ভারত: ১৭ ওভারে ১১৭/৪
ফাইনালে নিজের বোলিং কোটা পূরণ করে ফেললেন শাহিন আফ্রিদি। তাঁর শেষ থেকে এল ৬ রান।
চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতের দরকার ১৮ বলে ৩০ রান।
ভারত: ১৮ ওভারে ১৩০/৪
বল হাতে মার খেয়েই চলেছেন হারিস রউফ। প্রথম ৫ বলে ৭ রান দেওয়ার পর শেষ বলে দিলেন ফুল টস। সেটিকে কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠালেন দুবে।
পঞ্চম উইকেটে তিলক–দুবের অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটি ভারতকে শিরোপা জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতের দরকার ১২ বলে ১৭ রান।
ভারত: ১৯ ওভারে ১৩৭/৫
১৯তম ওভারের নিজের শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন দুবে। তাঁকে ফেরালেন ফাহিম আশরাফ।
দুবে আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন রিংকু সিং।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। বোলিংয়ে এসেছিলেন হারিস রউফ। তাঁর ৪ বলেই ১৩ রান নিলেন তিলক বর্মা ও রিংকু সিং।
প্রথম বলে ২ রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ ভারতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন তিলক। তৃতীয় বলে তিনি ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিংক সিংকে। রিংকু টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম বল খেলতে নেমেই মিড অনের ওপর দিয়ে চার মারেন।
এর মধ্যে দিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ভারতেরই থাকল। দলটি এ নিয়ে নবমবারের মতো মহাদেশের চ্যাম্পিয়ন হলো। সাতবার ওয়ানডে সংস্করণে, দুবার টি–টোয়েন্টি সংস্করণে।
ভারত: ১৯.৪ ওভারে ১৫০/৫ (তিলক ৬৯*, দুবে ৩৩, স্যামসন ২৪, গিল ১২; আশরাফ ৩/২৯, আফ্রিদি ১/২০, আবরার ১/২৯)। পাকিস্তান: ১৯.১ ওভারে ১৪৬ অলআউট (ফারহান ৫৭, ফখর ৪৬, আইয়ুব ১৪; কুলদীপ ৪/৩০, বুমরা ২/২৫, অক্ষর ২/২৬, বরুণ ২/৩০)। ফল: ভারত ৫ উইকেটে জয়ী।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে থাকা প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান জানালেন, ভারতের ক্রিকেটাররা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চ প্রস্তুত। কিন্তু সেখানে নেই পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।
আছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন কর্মকর্তারা। তবে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দল নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেবে কি না, চলছে সেই আলোচনা।
নাকভি অবশ্য মঞ্চে উঠেছেন। তাঁর পাশে আছেন বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
অবশেষে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেছেন। ভারতের ক্রিকেটাররা মাঠে শুয়ে-বসে আছেন, পরিবারের সঙ্গে খোশগল্প করছেন। মহসিন নাকভি কথা বলছেন ফোনে। মঞ্চে সব অতিথিও আছেন।
মঞ্চে থাকলেও এসিসি ও পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি চুপচাপ দাঁড়িয়ে। খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও অন্য অতিথিরা।
নাকভির হাত থেকে ট্রফি না নিয়েই চলে গেল ভারতীয় দল।
ম্যান অব দ্য ফাইনাল: তিলক বর্মা (ভারত)
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: অভিষেক শর্মা (ভারত)