ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনে উল্লসিত ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ ও মুহা. মহিউদ্দীন খান (বাঁ থেকে)। তাঁরা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনে উল্লসিত ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ ও মুহা. মহিউদ্দীন খান (বাঁ থেকে)। তাঁরা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

ডাকসুর জিএস পদে কেউ পেলেন ৬, কেউ ৯ ভোট

ডাকসুতে ভিপি পদেও ১,২,৩ ভোট পেলেন তাঁরা

ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়েছেন ৪৫ জন প্রার্থী। তাঁরা সব মিলিয়ে ২৯ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়েছেন।

এই ৪৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন মাত্র একটি করে ভোট পেয়েছেন। তাঁরা হলেন—মো. সুজন হোসেন, রাকিবুল হাসান ও রাসেল হক।

আরও তিনজন প্রার্থী মো. নাছিম উদ্দীন, মো. সোহানুর রহমান ও মো. হাবিবুল্লাহ দুটি করে ভোট পেয়েছেন।

তিনটি করে ভোট পেয়েছেন আরও তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন—মো. মুদাব্বীর রহমান, মো. হেলালুর রহমান ও শাহ জামাল সায়েম। ডাকসুর ফলাফলের চূড়ান্ত তালিকা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশপথে চেকপোস্ট, নিরাপত্তা জোরদার 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশপথে নিরাপত্তা জোরদার। আজ মঙ্গলবার সকালে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে আর কিছুক্ষণ পরেই। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আটটি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে মোতায়েন আছে। নিরাপত্তার জন্য টিএসসি এলাকায় পুলিশের একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ করা হয়েছে। পাশাপাশি সব কটি প্রবেশপথে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বপালন করছেন। পাশাপাশি রয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

সকাল সাতটা থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবীদের যেতে দেখা গেছে।

ডাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬২ জন ছাত্রী রয়েছেন। আর প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন।

ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয় 

ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের আগে টিএসসির ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয়।

সকাল সাড়ে ৭টার পর ডাকসু নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয়।

ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু 

ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ছাত্রীদের লম্বা লাইন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আটটি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয়। ডাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬২ জন ছাত্রী রয়েছেন। আর প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অন্য বারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট, আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠা।

ভোট দিতে লাইনে ছাত্রীরা, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ভোট গ্রহণ হচ্ছে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে। ডাকসুতে ৪৭১ প্রার্থীর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।

এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। শীর্ষ তিন পদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য এবং বামপন্থী সাত ছাত্রসংগঠনের সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ছাত্রীদের লম্বা লাইন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে

এবারই প্রথমবারের মতো আবাসিক হলের বাইরে ডাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের নির্ধারিত আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন। এর মধ্যে কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দেবেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা। এই কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭৭ জন ভোটার ভোট দেবেন।

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রটি নির্ধারণ করা হয়েছে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের জন্য (মোট ভোট ৪ হাজার ৮৫৩ ভোট)। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট দেবেন রোকেয়া হলের ছাত্রীরা (৫ হাজার ৬৬৫ ভোট)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোট দেবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা (মোট ভোট ৪ হাজার ৭৫৫)। স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন সিনেট ভবন কেন্দ্রে (মোট ভোট ৪ হাজার ৮৩০)।

সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভোট দেবেন উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে মাস্টারদা’ সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীমউদ্‌দীন হলের মোট ৬ হাজার ১৫৫ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দেবেন কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা (৪ হাজার ৪৪৩ ভোট)। আর ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে শামসুন নাহার হলের ৪ হাজার ৯৬ জন ছাত্রীর ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত (আট ঘণ্টা) ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

তবে চারটার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্রের আঙিনায় প্রবেশ করবেন, যত সময় লাগুক তাঁরা ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে বলে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং যারা ব্রেইল পড়তে পারেন, তাঁদের জন্য প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষার্থী ব্রেইল পড়তে পারে না তাঁরা আরেক জনের সহযোগিতা নিয়ে সবার মতোই ভোট দিতে পারবেন।

হোমওয়ার্ক করার মতো রাত জেগে আমরা প্রার্থী বাছাই করেছি: ভোটার রাকিবুল

কার্জন হলে ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন। আজ মঙ্গলবার সকালে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম।

লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'ভোট নিয়ে অনুভূতি অনেক বেশি। প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছি। আমাদের ভোটের ওপরে নির্ভর করছে, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কী হবে।’

রাকিবুল আরও বলেন, ‘পরীক্ষার আগে হোমওয়ার্ক করার মতো রাত জেগে আমরা ৫২৬ জন প্রার্থী থেকে ৪১ জনকে সিলেক্ট করেছি। তারপর ঘুম থেকে সবাইকে নিয়ে উঠে চলে আসছি ভোট দেওয়ার জন্য। আশা করি পছন্দের প্রার্থী যাদের ভোট দেব তারা জিতবে। '

গণতান্ত্রিক অধিকার পূরণ করতে পেরে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে: অর্পিতা

টিএসসিতে লাইনে ছাত্রীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা আনজুম। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছেন। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে প্রথম আলোকে বললেন, ‘অনেক বেশি উত্তেজনার কারণে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই ভোট দিতে এসেছি। আমার সারা রাত ঘুম হয়নি। জীবনে প্রথমবার কোন নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছি। ভোটের লাইন কিছুটা বড়। অপেক্ষা করছি, কখন ভেতরে প্রবেশ করতে পারব।’ আশা করছি, পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে পারব—বলেন নাফিসা।

এদিকে ডাকসু নির্বাচনে জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে এসেছেন অর্পিতা সাহা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী। অর্পিতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে এসেছি। লাইনে জট হবে ভেবে সকাল সকাল এসেছি। তারপরও লাইনের শেষ দিকে দাঁড়িয়েছি। গণতান্ত্রিক অধিকার পূরণ করতে পেরে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।

আনন্দদায়ক পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে: জিএস প্রার্থী আবু বাকের

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার আজ মঙ্গলবার সকালে টিএসসি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আনন্দায়ক পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন আমরা দেখতে পেয়েছি। আমরা আশাবাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেবেন।’

সুন্দর একটি ফলাফল পাবেন বলে আশা করছেন আবু বাকের মজুমদার। শিক্ষার্থীরা যে রায় দেবেন সব প্রার্থী সেটি মেনে নেবেন বলে আশার কথা জানান তিনি।

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। আজ মঙ্গলবার সকালে

ভুল বলেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, নিয়ম ভাঙেননি ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা যে অংশে ভোট দিচ্ছেন, সেখানে ঢোকেন আবিদুল ইসলাম খান।

এ বিষয়ে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, 'প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, তিনি জহুরুল হকের কেন্দ্রে ছিলেন। বিষয়টি জানেন না, খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

পরবর্তীতে জগন্নাথ হলের ভোট কেন্দ্রে সরাসরি কথা হয় কাজী মোস্তাক গাউসুল হকের সঙ্গে। তখনো তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর কাউকে পাইনি। আর কেউ ঢুকতে পারবে না।’

অবশ্য নির্বাচনী আচরণবিধির ১২ (খ) ধারায় বলা হয়, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। মানে হলো প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

এর আগে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছেন।

বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হকের সঙ্গে দুপুরে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংশোধনী: প্রথম আলো অনলাইনে লাইভ খবর প্রকাশের সময় আজ সকাল ৯টা ৮ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তার বক্তব্য ধরে বলা হয়েছিল যে, ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান কেন্দ্রে ঢুকে নিয়ম ভেঙেছেন। তবে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।

 রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি: ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল

কেন্দ্রের সামনে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে

ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, ভোটটা উদযাপন করতে চাই। অভিযোগ করতে চাই না।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার কিছু আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ভোটকেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

নিয়ম ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগের বিষয়ে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি।’

টিএসসি ভোট কেন্দ্রের সামনে তিনি প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।

 ভোটের পরিবেশ ভালো থাকা ও জয় নিয়ে আশাবাদী ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর 

ছাত্রদল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ মঙ্গলবার সকালে

ছাত্রদল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেছেন, নির্বাচনের মাত্র ৪৫ মিনিট সময় পার হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ তানভীর বলেন, তাঁদের আশা নির্ধারিত সময় পর্যন্তই নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী ।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশেষ করে যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী, তাঁদের উপস্থিতিই বদলে দেবে পরিস্থিতি। সবাইকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ভোট দিতে কেমন লেগেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তানভীর বারী হামিম বলেন, তাঁর ভোট দিতে ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লেগেছে। প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় ভোট দিতে সময় একটু বেশি লাগছে। বুথের সংখ্যা আরও বাড়ালে ভালো হতো বলেন তিনি।

টিএসসি কেন্দ্রে এক ঘন্টায় ভোট পড়ল ৭০০

প্রথমবার ডাকসুর ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। সকালে টিএসসিতে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট দিচ্ছেন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ৭০০ ভোট পড়েছে।

টিএসসির ক্যাফেটেরিয়া ও ইনডোর গেমস রুমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে ক্যাফেটেরিয়ায় ৪২০ জন ও ইনডোর গেমস রুমে ২৮০ জন শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৬৪১ জন।

ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসছে। এ কারণে দীর্ঘ সারি হয়েছে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছে। এভাবে চললে নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা ভোট শেষ করতে পারব।

আশা করি, প্রতিটি শিক্ষার্থী ভোট দিতে আসবেন: বিন ইয়ামিন মোল্লা

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমি নিজেও ডাকসুর জন্য অনশন করেছি, সংগ্রাম করেছি। অনেক লড়াই ও সংগ্রামের পর এই নির্বাচন পেলাম।

বিন ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, আশা করছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী ভোট দিতে আসবেন। ভোটের মাধ্যমে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে ভূতত্ত্ব বিভাগে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন এসে বিন ইয়ামিন মোল্লা এসব কথা বলেন।

ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারির বিষয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে ভোটকেন্দ্র আরও বাড়াতে পারত। তাহলে শিক্ষার্থীদের এত লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি কি হবে, সেটা প্রশাসনের বিবেচনা করা উচিত ছিল।

নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: ঐক্যবদ্ধ জোটের প্রার্থী ফরহাদ

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার পরে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেছেন, নির্বাচনে বেশ কয়েকটি ব্যত্যয় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার পরে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ডাকসু নির্বাচনের ভোট দিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন ফরহাদ।

ফরহাদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামের যে সংগঠনটি, তারা অভিযোগ জানিয়েছে, ইউল্যাব স্কুল অ্যান্ড কেন্দ্রে তাদের পোলিং এজেন্টকে বের করে দিয়ে ছাত্রদলের পোলিং এজেন্টকে এক্সেস দেওয়া হয়েছে। এ রকম অভিযোগ তারা দিয়েছে। এটি খুবই কনসার্নের জায়গা।

ফরহাদ বলেন, প্রশাসনের এ ধরনের আচরণগুলো খুবই পক্ষপাতমূলক। প্রশাসন রীতিমতো আগের মতোই এখন পর্যন্ত এসব ব্যাপারে নীরব থাকছে। ছাত্রদলের ব্যাপারে কনসার্ন জানানোর পরও ইমিডিয়েট যে অ্যাকশন নেওয়া দরকার ছিল, সেটি না নিয়ে এখনো নীরব ভূমিকা খুবই দুঃখজনক।

হুইলচেয়ারে ভোট কেন্দ্রে এলেন মেঘমল্লার বসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ভোট কেন্দ্রে এসেছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। আজ মঙ্গলবার দুপুরে

ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ভোট কেন্দ্রে এসেছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি হুইলচেয়ারে করে একজন সহযোগীর সহযোগিতায় কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।

এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রার্থীর

সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী খায়রুল হাসান

ডাকসু নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী খায়রুল হাসান।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

খায়রুল হাসান বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দিলাম। গতকাল রাতে এজেন্টদের কার্ড পেলাম। সকালে কার্ড নিয়ে যখন আমার এজেন্ট ইউ ল্যাব কেন্দ্রে প্রবেশ করল, সেখানে ঢোকার পর দেখা গেল, যারা দায়িত্বরত আছেন, তাঁরা আমার প্যানেল থেকে যে এজেন্ট আছে, তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। ব্যাখ্যা চাওয়া হলে দায়িত্বরতরা বললেন, তাদের কাছে নাকি গতকাল রাতে একটা লিস্ট এসেছে। সেই লিস্টে যাদের নাম আছে শুধু তাদেরই ঢুকতে দেবে।’

খায়রুল হাসান জানান, তিনি নিজেও ওই তালিকা দেখেছেন। সেখানে যে ১০ জনের নাম আছে, তার মধ্যে ছয়জন ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর পক্ষের এজেন্ট। একজন আছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস)। দুজন স্বতন্ত্র।

এই কেন্দ্রে ছাত্রদলকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের ছয়জন এজেন্টকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হলেও আমাদের মাত্র একজন এজেন্ট, তাঁকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’

উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১১০টি বুথে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। সকাল পৌনে ১০টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তারিক মনজুর এ তথ্য জানান।

উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে মোট ভোটার ৬ হাজার ১৫৫ জন। এর মধ্যে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ১ হাজার ৭৫৩ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১ হাজার ৬০৯ জন ও কবি জসীম উদ্‌দীন হলের ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ২৯৮ জন।

প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভোট দিতে কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসা অনেকেই। জসীম উদ্‌দীন হলের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন ভোট দিয়ে বের হয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ভোট দিতে কিছুটা সময় লাগছে। বিশেষ করে যারা আগে থেকে পরিকল্পনা করে আসেনি, তাদের সময় বেশি লাগছে। তবে ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।

জয় নিয়ে আশাবাদী উমামা বললেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হোক

ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উ্রমামা ফাতেমা আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দেন

ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেছেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। সেই সঙ্গে উমামা বলেন, তাঁর চাওয়া, ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন’ হোক।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দেন উমামা। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো যেন নির্বাচন কমিশন আমলে নেয়। আমরা চাচ্ছি, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হোক।’

ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো। আমরা আশা করছি, ৩০ হাজারের বেশি ভোট কাস্টিং হবে।’

পোলিং এজেন্টদের পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, ‘যেসব এজেন্টদের আমরা মেয়েদের হলে দিয়েছি, তাঁদের ছেলেদের হলে দেওয়া হয়েছে। যাকে ছেলেদের হলে দিয়েছি তাঁকে মেয়েদের হলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সকালবেলা সমাধান করবে বললেও করেনি। আমরা সকালে এসে দেখি বিশৃঙ্খল অবস্থা। আমাদের সশরীরে এসে সমাধান করতে হয়েছে।’

এ বিষয়ে উমামা ফাতেমা আরও বলেন, যেসব পোলিং এজেন্টকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কী কারণে বাদ পড়লেন, সেটা আমাদের অবশ্যই জানানো উচিত। কারণ পোলিং এজেন্টরা ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকবেন। ওই সময় কোনো পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে আমরা সেটি জানাব।

ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কম, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ধরে সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে জানিয়ে উমামা ফাতেমা বলেন, ভোট দিতে আসা শিক্ষার্থীরা মুঠোফোন ও ব্যাগ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া তাদের জন্য স্যালাইন আর পানি রাখার কথা ছিল। সেই ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন।

এক পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুটি ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল, তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন। তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

দায়িত্বপালন করার সময় সাংবাদিকের মৃত্যু

তরিকুল ইসলামের পরিচয়পত্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তরিকুল ইসলাম শিবলী (৪০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান,চিকিৎসক জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রগতিপক্ষের শক্তিগুলোর জয় হবে: মেঘমল্লার বসু

প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের ইনডোর গেমস রুমের বাইরে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালটে প্রগতিপক্ষের যে শক্তিগুলো আছে, সেই শক্তিগুলোর জয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু।

আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের ইনডোর গেমস রুমের বাইরে মেঘমল্লার বসু সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। এর আগে তিনি ভোট দিতে বেলা ১১টার দিকে এই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন।

মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘আমরা আসলে রেজাল্টের ব্যাপারে ইতিবাচক। আমরা মনে করি, ব্যালটে প্রগতিপক্ষের যে শক্তিগুলো, সেই শক্তিগুলোর জয় হবে।’ বিস্তারিত পড়ুন

ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি কিন্তু পরিস্থিতি সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না: ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল 

ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম

ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে ব্যাহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে ভোটদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করার নতুন খেলার অপচেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি মাত্রই। কিন্তু পরিস্থিতি সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না।’ যাঁরা এখনো ভোট দিতে আসেননি তাঁদেরকে ভোট দিতে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আবিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে অমর একুশে হল এবং রোকেয়া হলে পূরণকৃত ব্যালট শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নির্বাচন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় সেগুলোর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

আবিদুল ইসলাম আরও বলেন, ডাকসুর নির্বাচনী আচরণবিধিতে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোনো কিছু প্রকাশ করার আগে যাচাই বাছাই করতে হবে।

টিএসসি কেন্দ্রে দেড়টা পর্যন্ত ভোট ৫৮%, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে আড়াইটা পর্যন্ত ৭৮%

ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের উল্লাস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভোট কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। যা মোট ভোটারের প্রায় ৫৮ শতাংশ। ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

নাসরিন সুলতানা বলেন, টিএসসির ক্যাফেটেরিয়ার কক্ষে ১২টি বুথে ২ হাজার ১০০ জন এবং ইনডোর গেমস রুমের সাতটি বুথে ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।

টিএসসি কেন্দ্রে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬৫।

এই কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নাসরিন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসছে। এ কেন্দ্রে দেড়টা পর্যন্ত ৫৮ শতাংশ মেয়ে ভোট দিয়েছে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছে।’

এদিকে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১। এর মধ্যে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৭৮ শতাংশ বা ৩ হাজার ৭৮৬টি।

এই কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, জহুরুল হক হল এবং এস এম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন।

বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে জগন্নাথ হলের ২ হাজার ২২৯ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৭২৬ (৭৭ শতাংশ), জহুরুল হক হলের ১ হাজার ৯৬৩ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৫৭৫ (৮০ শতাংশ) ও এস এম হলের ৬৬৯ ভোটের মধ্যে ৪৮৫ ভোট (৭২ শতাংশ) পড়েছে। সংশ্লিষ্ট হলগুলোর প্রাধ্যক্ষদের কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ফারুক শাহ আলাদা করে স্ব স্ব হলের ভোট পড়ার এ তথ্য জানান।

বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট সংগ্রহ হয়েছে, বেলা তিনটার দিকে বললেন উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের উল্লাস। রাজু ভাস্কর্যের সামনে, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

বেলা তিনটার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট সংগ্রহ হয়েছে। চারটার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাঁদের ভোট নেওয়া হবে।

উপাচার্য বলেন, ‘কার্জন হলে ভুলক্রমে একটি ছোট সমস্যা হয়েছে। তার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবুও এই ঘটনার আমরা পুনরায় তদন্ত করে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেব।’

উল্লেখ্য, কার্জন হলে এক ভোটারকে দুটি ব্যালট দেওয়া হয়েছিল। পরে পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়।

ভোট দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে মাইকে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হচ্ছে। বিকেল ৪টার পর আর কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সিনেট ভবন কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৯ আগস্ট

টিএসসির কেন্দ্রে ‘ক্রস চিহ্ন’ দেওয়া একটি ব্যালট একজন ভোটারকে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘এখানেও আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।

ডাকসু নির্বাচন এখন দেশের দাবিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, 'আমরা আশা করছি, যিনি জিতবেন এবং যিনি বিজেতা হবেন, সবাই ফলাফল মেনে নেবেন। তাঁরা স্বীকার করবেন যে, কোথাও কোনো স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই।'

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিতে পারছে। এখনো সময় আছে। ভোটারও আসছে। আশা করছি উল্লেখযোগ্য ভোট পড়বে।'

উদয়ন স্কুলে আড়াইটা পর্যন্ত ভোট ৮০%, সিনেট ভবন কেন্দ্রে ৮২%

নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত ভোটাররা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। একই সময়ে নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন কেন্দ্রে ৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রপ্রধান এস এম শামীম রেজা বেলা তিনটার দিকে বলেন, কবি জসিম উদদীন হলের ১ হাজার ৬৪ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ১ হাজার ২১২ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১ হাজার ৩৫০ জন ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ১ হাজার ২৭৪ জন শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জসিমউদ্দীন হলে। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে ব্রেইল পদ্ধতিতেও ভোট দিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন কেন্দ্রে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ৪ হাজার ভোট পড়েছে। যা এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের ৮২ শতাংশ বলে জানান কেন্দ্রটিতে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

সিনেট ভবনে মোট তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ডাইনিং রুম, সেমিনার রুম এবং অ্যালামনাই ফ্লোর কেন্দ্র। তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৮৩৫টি।

ডাইনিং রুম কেন্দ্রে বিজয় একাত্তর হলের ২ হাজার ৪৩ শিক্ষার্থী ভোট দেওয়ার কথা। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ১ হাজার ৮০০ ভোট পড়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।

সেমিনার রুম হলে মুহসীন হলের ১ হাজার ৪০৯ জন শিক্ষার্থীর ভোট দেওয়ার কথা। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ ভোট পড়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।

অ্যালামনাই ফ্লোর কেন্দ্রে স্যার এ এফ রহমান হলের ১ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী ভোট দেওয়ার কথা। এই কেন্দ্রে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ ভোট পড়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

বেলা আড়াইটার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিতে পারছে। এখনো সময় আছে। ভোটারও আসছে। আশা করছি, উল্লেখযোগ্য ভোট পড়বে।’

ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান

দুপুরের পর থেকে আমরা কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি: আবিদুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কিছু নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, ‘নেগেটিভিটি ঘটেছে। দুপুরের পর থেকে আমরা কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি। আমি নিজেও অমর একুশে হলের যে কেন্দ্র আছে, সেখানে গিয়েছি। প্রমাণ পেয়েছি। তাদের সঙ্গে খুব পোলাইটলি কথা বলেছি। তারাও বলেছে, হ্যাঁ, একটা ঘটনা ঘটে গেছে। রোকেয়া হলেও একই অবস্থা। তারা বলছে, ঘটনা ঘটে গেছে।'

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এস এম হলের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন।

আবিদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে পোলিং এজেন্টদের বাধা দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্যানেল শিট দিতে গিয়ে তাদের বাধাগ্রস্ত হতে হয়েছে। শুধুমাত্র প্যানেলের কোড নম্বর বিতরণ করার কারণে রোকেয়া হলের পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থীকে ছাত্রত্ব শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন একজন শিক্ষক। তার এমন হিংস্রতা দেখানোর কথা নয়। অথচ তিনি শিবিরেরটা বিলি করেছেন।

নির্বাচনে কারচুপির যে অভিযোগ, সেটির কারণে শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে এই ভিপি প্রার্থী বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন বলে জানান আবিদুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, কারচুপির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

কেন্দ্রের কাছাকাছি জায়গায় ছাত্রদলের প্রার্থীদের লিফলেট প্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আবিদুল ইসলাম বলেন, ৪১ জন প্রার্থীর নাম মনে রাখা ভোটারের পক্ষে সম্ভব হয় না। এটাকে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অতিরঞ্জন (এক্সট্রিমিস্ট) হিসেবে দেখা যাবে না।

তিনি ডাকসু নির্বাচন প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে আসা এক সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)

টিএসসিতে হট্টগোল

ডাকসু নির্বাচনের টিএসসির ভোট কেন্দ্রে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম ও ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামকে ঢুকতে দেওয়া হলেও উমামা ফাতেমার প্যানেলের ছাত্র পরিবহন সম্পাদক রাফিজ খানকে ঢুকতে না দেওয়ায় হট্টগোল করেছে তাঁর সমর্থকেরা। পরে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সমর্থকেরাও এতে যোগ দেয়।

বিকেল পৌনে চারটার দিকে টিএসসির জনতা ব্যাংকের বুথের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাফিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকেলের পর থেকেই আমি টিএসসিতে ঢুকতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়নি। অথচ ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েমকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় সাদিকের সঙ্গে আরও দশজন ভেতরে প্রবেশ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দায়িত্বরত শিক্ষককে জানানো হলে তিনি সাদিকের সঙ্গে অন্যদের ঢোকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাই আমরা তাৎক্ষনিক ক্ষোভ জানিয়েছি।’

পরে টিএসসির ভেতরের পায়রা চত্বরের নিচে আবু সাদিক কায়েম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি একটা গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা দেখতে পেয়েছি বহিরাগত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের পাশে ভিড় করছে। যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা যে রায় দেবে অবশ্যই আমরা সেটা গ্রহণ করব।’

ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ

মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম
ডাকসু নির্বাচনে ভোট গণনা কার্যক্রম সরাসরি স্ক্রিনে দেখানো হবে। সিনেট ভবন কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রের সামনে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। কার্জন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে সোয়া ৪টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত ব্যালটগুলো বক্স ভরে সিলগালা করা হয়
উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স জড়ো করে রাখা হয়েছে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।

প্রাথমিক হিসাব : বেশি ভোট পড়েছে উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে

ডাকসুতে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রাথমিক হিসাব দিয়ে জানান, কার্জন হল কেন্দ্রে ৮০ শতাংশের বেশি, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে ৮৩, টিএসসি কেন্দ্রে ৬৯, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ৬৭, উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে ৮৪-৮৫, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ৬৫ এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি কেন্দ্রে ৬৫ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ঢাবি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ তুলে ধরেন। ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর

তিন অভিযোগ নিয়ে ঢাবি প্রশাসনের কাছে ছাত্রদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে দুপুরের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি গেটে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এমন অভিযোগ করেন।

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিনটি অভিযোগ তোলা হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি প্রবেশপথে জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি, প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা জামায়াত–সংশ্লিষ্ট এবং নির্বাচনে কারচুপি।

প্রশাসনের কাছে ছাত্রদলের মৌখিক অভিযোগ প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, সহ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা।

ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি ( ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর

ভোট গণনায় বিন্দুমাত্র কারচুপির চেষ্টা হলে শিক্ষার্থীরা তা প্রতিরোধ করবে : আবিদুল ইসলাম খান 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি ( ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, যদি ভোট গণনাতে বিন্দুমাত্র কারচুপির চেষ্টা করা হয়, যদি শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকার দমন করার অপচেষ্টা হয়, শিক্ষার্থীরা তা প্রতিরোধ করবে।

আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে  এ কথা বলেন তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা বারবার প্রমাণ পেয়েছি যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকের নির্বাচনে একাধিক অনিয়ম আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। রোকেয়া হল এবং অমর একুশে হলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের দেওয়া ব্যালটে আগে থেকেই নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোটচিহ্ন দেওয়া ছিল। প্রধান রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিতে তদন্তে গিয়ে আমরা নিজেরাই এ ধরনের ব্যালট দেখতে পেয়েছি। আমাদের এজেন্ট এবং প্রার্থীদের বারবার হয়রানি করা হয়েছে।’

কার্জন হলের সামনে প্রেস ব্রিফিং করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৯ সেপ্টেম্বর

ঢাবিতে মির্জা আব্বাসের প্রবেশের অভিযোগ বাকের মজুমদারের, মির্জা আব্বাস বললেন ‘গাঁজাখুরি গল্প’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ অভিযোগকে ‘গাঁজাখুরি গল্প’ বলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন মির্জা আব্বাস।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে প্রেস ব্রিফিং করেন বাকের মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, 'মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচনের কোনো কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। কিন্তু তিনি (মির্জা আব্বাস) আজ এখানে প্রবেশ করা মানে একটা ভিন্ন বার্তা যাচ্ছে দেশবাসীর কাছে। মির্জা আব্বাসের আজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই, রাইট (অধিকার) নেই। প্রবেশ করেছেন কেন, এটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখের আশপাশে বিএনপির অনেক নেতা–কর্মী জড়ো হয়েছেন বলেও দাবি করেন আবু বাকের মজুমদার। এই নেতা–কর্মীদের মির্জা আব্বাস এনেছেন কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন বাগছাসের এই নেতা।

অভিযোগ নাকচ মির্জা আব্বাসের

আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ নাকচ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ অভিযোগকে ‘গাঁজাখুরি গল্প’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মাত্র ইউনিভার্সিটি থেকে আসলাম, এটা যদি আমি বলতে পারতাম খুব ভালো লাগত।’ তিনি বলেন, ‘কী বলব ভাই, দেশটাতে যে কী শুরু হয়েছে। গাঁজাখুরি গল্প। আমি আমার তেজগাঁওয়ের অফিসে ছিলাম। এখন তেজগাঁও থেকে গুলশানে চেয়ারপারসনের অফিসে যাচ্ছি স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে।’

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন

নির্বাচন কমিশন থেকে দুপুর পর্যন্ত আমাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি: জিএস প্রার্থী ফরহাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন ফরহাদ।

এস এম ফরহাদ বলেন, 'সকাল থেকে বলা হচ্ছিল কোনো প্রার্থী স্ব স্ব কেন্দ্রে ভোট দেওয়া ছাড়া সেন্ট্রাল প্রার্থী অন্য কোনো বুথে ঢুকতে পারবে না। এই নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হচ্ছিল। আমাদের দিক থেকে কোনো প্রার্থী দুপুর পর্যন্ত সেকারণে ঢুকতে পারিনি। আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি, ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদ ভাই (আবিদুল ইসলাম খান), উনি প্রত্যেকটা সেন্টারে, প্রত্যেকটা বুথে ধরে ধরে সকাল আটটা থেকে ঢোকা শুরু করেছে। নানা কেন্দ্রে মানে ভোট গ্রহণের আগে থেকে তিনি ঢুকছেন এবং দেখছেন। আর আমরা গেলে আমাদের আটকানো হতো।'

অমর একুশে হলের বুথে কর্মকর্তা ও ছাত্রদলের যোগসাজশে ছাত্রদলের হল এবং সেন্ট্রাল প্যানেলের সবাইকে ভোট দিয়ে সেই ব্যালট বাক্সে ঢুকানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, 'এই জালিয়াতি ধামাচাপা দিতে তারা রোকেয়া হলের বুথে নাটক মঞ্চস্থ করেছে।'

ফরহাদ অভিযোগ করেন, রোকেয়া হলের বুথে নাটক মঞ্চস্থ করার পর সেটা ধামাচাপা দিতে না পেরে ছাত্রদল একজন শিক্ষককে বাজেভাবে লাঞ্ছিত করেছে।

ইউল্যাব কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের সমালোচনা করেন ফরহাদ।

ভোট জালিয়াতি ও বিভিন্ন অনিয়ম ধামাচাপা দিতে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিকেলে খারাপ আচরণ করেছে অভিযোগ তুলে এস এম ফরহাদ বলেন, '...বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র শিক্ষকের সাথে এভাবে আঙুল তুলে, টেবিল চাপড়ে, মব ক্রিয়েট করে এভাবে কথা বলে। এটা ছাত্রলীগের কাছে আমরা দেখেছিলাম।'

সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, 'আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের এরেস্ট করতে হবে, তাদেরকে থানায় দিতে হবে।'

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের আজ রাতে টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন

ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগির নির্বাচন হচ্ছে: আব্দুল কাদের

ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগির নির্বাচন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার রতে টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে অভিযোগ করে আব্দুল কাদের বলেছেন, সাদিক কায়েম (ছাত্র শিবিরের ভিপি প্রার্থী) ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে মেকানিজম করেছে আর ছাত্রদল বাইরে থেকে মেকানিজম করছে।

আব্দুল কাদের অভিযোগ করেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য নয় বরং এই নির্বাচন মূলত স্পষ্টত জামায়াত-বিএনপি, ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে হিসাব-নিকাশ ও ক্ষমতার ভাগাভাগির নির্বাচন হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলেছি, এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অথর্ব এবং নতজানু কমিশন। এরা দুইভাগে বিভক্ত, একটি ভাগ ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে, অন্যটি শিবিরের। প্রচারণা থেকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত তারা অনেক বিধিনিষেধ দিলেও প্রার্থীরা নিয়ম ভঙ্গ করেছে, কিন্তু কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আগামীকাল ঢাবির সব ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ থাকবে

আগামীকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন

কিছু কেন্দ্রের গণনা এগিয়েছে, কিছু কিছু পিছিয়ে আছে: প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল আজ মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, কিছু কেন্দ্রের গণনা এগিয়েছে, কিছু কিছু পিছিয়ে আছে।

আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।

আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের পর এখন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন।

প্রতিরোধ পর্ষদের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী তাসনিম আফরোজ ইমি আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৯ সেপ্টেম্বর

ক্যাম্পাসে যুদ্ধংদেহী অবস্থা তৈরি করা হয়েছে: প্রতিরোধ পর্ষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে যুদ্ধাংদেহী অবস্থা তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী তাসনিম আফরোজ ইমি।

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তাসনিম আফরোজ এ মন্তব্য করেন। ডাকসু নির্বাচন পরবর্তী সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তাসনিম আফরোজ বলেন, ক্যাম্পাসে একটি যুদ্ধংদেহী অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। কোনো রকম ভোট কারচুপির চেষ্টা করা হলে ছাত্রসমাজ সেটি মেনে নেবে না। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে জটিল করা হয়েছে। নির্বাচনের আচরণবিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ফলাফলের জন্য সিনেট ভবনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অপেক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলের জন্য অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন ও বাইরে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলোর নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টাপাল্টি নানা অভিযোগ তুলেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফলের জন্য সিনেট ভবনে বিপুলসংখ্যাক শিক্ষার্থীর অপেক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। চলছে ভোট গণনা। ফলাফলের জন্য সিনেট ভবনে অপেক্ষায় বিপুলসংখ্যাক শিক্ষার্থী
ডাকসু নির্বাচনের কার্জন হল ভোট কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে

কার্জন হল কেন্দ্রের ফল ঘোষণা : ডাকসুর ভিপি পদে তিন হলেই সর্বোচ্চ ভোট সাদিক কায়েমের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কার্জন হল ভোট কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রাত দেড়টার কিছুক্ষণ পরে এই ফল ঘোষণা শুরু হয়। কার্জন হল ভোট কেন্দ্রে অমর একুশে হল, ফজলুল হক হল ও শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন।

ঘোষণা অনুযায়ী অমর একুশে হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ৬৪৪, আবিদুল ইসলাম ১৪১; উমামা ফাতেমা ৯০; শামীম হোসেন ১১১; আবদুল কাদের ৩৬ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ১ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে এস এম ফরহাদ ৪৬৬; মেঘ মল্লার বসু ৮৬; আবু বাকের মজুমদার ১৪৭ ও তানভির বারী হামিম ১৮০ ভোট পেয়েছেন।

কার্জন হল ভোটকেন্দ্রে ফজলুল হক হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ৮৪১, আবিদুল ইসলাম ১৮১; উমামা ফাতেমা ১৫৩; শামীম হোসেন ১৪১; আবদুল কাদের ৪৭ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ৬ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে এস এম ফরহাদ ৫৮৯; মেঘ মল্লার বসু ৯৯; আবু বাকের মজুমদার ৩৪১ ও তানভির বারী হামিম ২২৮ ভোট পেয়েছেন।

কার্জন হল ভোটকেন্দ্রে শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থীরাও ভোট দিয়েছেন। এই হলের ফল অনুযায়ী ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৯৬৬; আবিদুল ইসলাম ১৯৯; উমামা ফাতেমা ১৪০; শামীম হোসেন ১৬১; আবদুল কাদের ৫৬ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ৬ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে এস এম ফরহাদ ৭৭৩; মেঘ মল্লার বসু ১২৫; আবু বাকের মজুমদার ২৪১ ও তানভির বারী হামিম ২৪৯ ভোট পেয়েছেন।

কার্জন হল ভোটকেন্দ্রের মতো ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রেও সর্বোচ্চ ভোট সাদিক কায়েমের

ডাকসু নির্বাচনে ভূতত্ত্ব বিভাগ ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে শুধু সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর ভিপি পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১ হাজার ২৭০ ভোট। তাঁর পরে আছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা, তিনি পেয়েছেন ৫৪৭ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন ৪৮৫; ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম ৪২৩ ভোট পেয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৫৫ ভোট।

ভূতত্ত্ব বিভাগ ভোট কেন্দ্রে ডাকসুর জিএস পদে শিবিরের এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ৯৬৪ ভোট। তাঁর পরে রয়েছেন প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের মেঘমল্লার বসু, তিনি পেয়েছেন ৫০৭ ভোট। এ ছাড়া আরাফাত চৌধুরী ৪৯৮ ভোট; ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম ৪০২ ভোট ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের আবু বাকের মজুমদার পেয়েছেন ২১৬ ভোট।

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোট কেন্দ্রের সাদিক ১১১৪ ভোট, আবিদুল ইসলাম ৪৩৪

ডাকসু নির্বাচনে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোট কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে শুধু শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৪০৯৬। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৬০৭ জন।

ঘোষণা অনুযায়ী এই কেন্দ্রে ডাকসুর ভিপি পদে শিবিরের আবু সাদিক কায়েম ১১১৪ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আবিদুল ইসলাম ৪৩৪; উমামা ফাতেমা ৪০৩; শামীম হোসেন ৪১২; আবদুল কাদের ৫৯ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ৪ ভোট পেয়েছেন।

এই কেন্দ্রে জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৮১৪; মেঘ মল্লার বসু ৫১৭; আবু বাকের মজুমদার ১৩২ ও তানভীর বারী হামীম ৩১২ ভোট পেয়েছেন।

জগন্নাথ হলে ডাকসুর ভিপি পদে আবিদুল পেয়েছেন ১২৭৬ ভোট, সাদিক কায়েম ১০

ডাকসু নির্বাচনে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ভোটকেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন।

এই ভোটকেন্দ্রের জগন্নাথ হলের ভোট গণনায় দেখা যায় ডাকসুর ভিপি পদে ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ১২৭৬ ভোট পেয়েছেন। শিবিরের সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১০ ভোট। এ ছাড়া উমামা ফাতেমা ২৭৮; আবদুল কাদের ২১; বিন ইয়ামিন মোল্লা ৫; শামীম হোসেন ১৭১ ও তাসনিম আফরোজ ইমি ১১ ভোট পেয়েছেন।

জগন্নাথ হলে ডাকসুর জিএস পদে মেঘ মল্লার বসু ১১৭০ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া এসএম ফরহাদ ৫; তানভীর বারী হামিম ৩৯৮; আরাফাত চৌধুরী ১৬৯ ও আবু বাকের মজুমদার ২৭ ভোট পেয়েছেন।

জহুরুল হক হলের সাদিক পেয়েছেন ৮৯৬ ভোট, আবিদ ৩১৪

জহুরুল হক হলের ভোট গণনায় দেখা যায়, ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৮৯৬, আবিদুল ইসলাম ৩১৪; উমামা ফাতেমা ৯৬; আবদুল কাদের ৮৭; বিন ইয়ামিন মোল্লা ৬ ও শামীম হোসেন ১৯৪ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৬৭০ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া তানভীর বারী হামীম ৪০৯; মেঘ মল্লার বসু ১৪০; আরাফাত চৌধুরী ২২০ ও আবু বাকের মজুমদার ৮৯ ভোট পেয়েছেন।

সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলে সাদিকের ৩০৩ ভোট, আবিদের ১১০

এসএম হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৩০৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আবিদুল ইসলাম ১১০; উমামা ফাতেমা ৩৪; আবদুল কাদের ২১; বিন ইয়ামিন মোল্লা ৬ ও শামীম হোসেন ৫০ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ২৩৭ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আরাফাত চৌধুরী ৬৬; মেঘ মল্লার বসু ৪১; তানভীর বারী হামীম ১২৪ ও আবু বাকের মজুমদার ১৮ ভোট পেয়েছেন।

রোকেয়া হলে সাদিক ১৪৭২, শামীম হোসেন ৬৮৪, উমামা ফাতেমা ৬১৪ ভোট পেয়েছেন

ডাকসু নির্বাচনে টিএসসি ভোটকেন্দ্রে শুধু রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। ফল ঘোষণায় দেখা যায়, রোকেয়া হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৪৭২। এ ছাড়া উমামা ফাতেমা ৬১৪; আবিদুল ইসলাম ৫৭৫; শামীম হোসেন ৬৮৪ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এস এম ফরহাদ ১১২০ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আরাফাত চৌধুরী ৬৬৪; মেঘ মল্লার বসু ৭৮০, তানভীর বারী হামীম ৪৪৭ ও আবু বাকের মজুমদার ২৪১ ভোট পেয়েছেন।

এফ রহমান হলে সাদিক কায়েম ৬০২ ভোট ও আবিদুল ইসলাম ১৮৬ পেয়েছেন

ডাকসু নির্বাচনে সিনেট ভবন ভোটকেন্দ্রে তিনটি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। হলগুলো হলো: স্যার এএফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হল।

ফল ঘোষণায় দেখা যায় এএফ রহমান হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬০২ ভোট পেয়েছেন। আবিদুল ইসলাম ১৮৬; উমামা ফাতেমা ৭৯; আবদুল কাদের ৯১ ও শামীম হোসেন ১২২ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৫৮৮ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়ার মেঘ মল্লার বসু ১৫৭ ; আবু বাকের মজুমদার ৫৪ ও তানভীর বারী হামীম ২৪৫ ভোট পেয়েছেন।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আবিদুল ইসলাম ২২১; শামীম হোসেন ১২৩, আবদুল কাদের ৭০ ও উমামা ফাতেমা ৫৬ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৫০১ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া তানভীর বারী হামীম ২৫৮; আরাফাত চৌধুরী ১৫৬; মেঘ মল্লার বসু ১০৬ এবং আবু বাকের মজুমদার ৭৫ ভোট পেয়েছেন।

এই ভোটকেন্দ্রের বিজয় একাত্তর হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৯৯১ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আবিদুল ইসলাম ২৭৮; শামীম হোসেন ১৯১; উমামা ফাতেমা ১০৪; আবদুল কাদের ৯৫ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৭৭৯ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া তানভীর বারী হামীম ৪৪২; মেঘ মল্লার বসু ১৪৫ ও আরাফাত চৌধুরী ১৯৪ ভোট পেয়েছেন।

পাঁচটি কেন্দ্রের ফলাফলে ভিপি পদে সাদিকের ভোট ৭৫১৬, আবিদের ৩৬৫৩

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মোট আটটি কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের ফলাফলে ভিপি পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৭৫১৬ ভোট। আর ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৬৫৩ ভোট। এ ছাড়া উমামা ২৩৫৫ এবং শামীম হোসেন ২৪০৯ ভোট পেয়েছেন।

আর ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ পেয়েছেন ৫৬৩৮ ভোট। এ ছাড়া মেঘমল্লার বসু ৩৪৬৫; তানভীর বারী হামীম ২৭৫৩ ভোট পেয়েছেন।

এই পাঁচ ভোটকেন্দ্র হলো কার্জন হল কেন্দ্র, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র্র, টিএসসি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র এবং ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র।

অন্য তিনটি ভোটকেন্দ্র হলো সিনেট ভবন কেন্দ্র, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র।

জসিম উদ্দীন হলে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট, আবিদুল ১৮৭

ডাকসু নির্বাচনে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে চারটি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এই হলগুলো হলো কবি জসীম উদদীন হল, সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।

জসিম উদ্দীন হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬৪৭ ভোট পেয়েছেন। আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। এ ছাড়া উমামা ৬২; আবদুল কাদের ৫৫; শামীম হোসেন ৯৪ এবং বিন ইয়ামিন মোল্লা ৪ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৫৪০ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া তানভীর বারী হামীম ২৫৫; মেঘ মল্লার বসু ৮১; আবু বাকের মজুমদার ৬৭ ভোট পেয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। এ ছাড়া উমামা ফাতেমা ১৫১; আবদুল কাদের ৭০; শামীম হোসেন ১৩১ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৫৪৪ ভোট, তানভীর বারী হামীম ৩৩৪ ভোট এবং মেঘ মল্লার বসু ১৭৬ ভোট পেয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৮৪২ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আবিদুল ইসলাম ২৩৮; উমামা ফাতেমা ৬৯; আবদুল কাদের ৬৭; বিন ইয়ামিন মোল্লা ১১ এবং শামীম হোসেন ১২২ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৬৮৩; মেঘ মল্লার বসু ১২৪; আবু বাকের মজুমদার ৮১ এবং তানভীর বারী হামীম ৩০৭ ভোট পেয়েছেন।

সূর্যসেন হলে ডাকসুর ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৭৬৯ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আবিদুল ইসলাম ২১০; উমামা ফাতেমা ৬৪; আবদুল কাদের ৬৪ এবং শামীম হোসেন ১২১ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৫৬৮ ভোট পেয়েছেন। আরাফাত চৌধুরী ১৬৪; মেঘ মল্লার বসু ১০৮; আবু বাকের মজুমদার ৬৬ এবং তানভীর বারী হামীম ২৮৫ ভোট পেয়েছেন।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম (বাঁয়ে) ও জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ

ডাকসু নির্বাচন: ভিপি পদে সাদিক কায়েম ও জিএস পদে ফরহাদ জয়ের পথে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম এবং জিএস পদে এস এম ফরহাদ জয়ের পথে রয়েছেন।

বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ঘোষিত ৭টি ভোটকেন্দ্রের ১৬টি হলের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ।

ডাকসু নির্বাচনে মোট আটটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এসব ভোটকেন্দ্রে মোট ১৮টি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন।

ভোটকেন্দ্রগুলো হলো কার্জন হল কেন্দ্র, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র্র, টিএসসি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র, সিনেট ভবন কেন্দ্র, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র।

ডাকসু নির্বাচন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রেও সাদিকের ভোট বেশি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভোট কেন্দ্রে শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হল এবং কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রেও ডাকসুর ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমের প্রাপ্ত ভোট প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশি।

ঘোষিতে ফলাফলে দেখা যায় শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ৭৪২ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া আবিদুল ইসলাম ২২৭; উমামা ফাতেমা ২২৩; শামীম হোসেন ৩৩৭; আবদুল কাদের ৬৪ এবং বিন ইয়ামিন মোল্লা ১২ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ডাকসুর জিএস প্রার্থীদের মধ্যে এস এম ফরহাদ ৫৯৫ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া মেঘ মল্লার বসু ৩১২; আবু বাকের মজুমদার ৯৩; তানভীর বারী হামীম ২২৯ ভোট পেয়েছেন।

কুয়েত মৈত্রী হলে ভিপি প্রার্থী সাদেক কায়েম ৬২৬ ভোট পেয়েছেন। আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ২১০ ভোট। এ ছাড়া উমামা ফাতেমা ২২৬; শামীম হোসেন ২৩৩; আবদুল কাদের ৪৭; বিন ইয়ামিন মোল্লা ৬ ভোট পেয়েছেন।

এই হলে জিএস পদে এসএম ফরহাদ ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া মেঘ মল্লার বসু ২৭৫; তানভীর বারী হামীম ১৭৯ এবং আবু বাকের মজুমদার ৬৪ ভোট পেয়েছেন।

ডাকসুর মাধ্যমে সুন্দর মডেল তৈরি করতে পেরেছি: জসীম উদ্দিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা চলছে। আজ বুধবার সকালে

ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা চলছে। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ফলাফল এর মধ্যে সবাই জেনে গেছেন। এখন আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পালা।

ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত 

ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা আবু সাদিক কায়েম ভিপি ও এস এম ফরহাদ জিএস নির্বাচিত হয়েছেন।

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়েছেন।

জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।

এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের এজিএস প্রার্থী আশরেফা খাতুন পেয়েছেন ৯০০ ভোট।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট শেষ হয় বিকেল ৪ টায়।

ডাকসুর ১২ সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির জয়ী

ডাকসুর ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ডাকসুতে পদ আছে ২৮টি। এর মধ্যে সদস্যপদ ১৩টি। সদস্যপদে ফলাফল ঘোষণা চলছে।

জয়ী হলেন যারা–

* সহসভাপতি (ভিপি)– আবু সাদিক কায়েম

* সাধারণ সম্পাদক (জিএস) –এস এম ফরহাদ

* সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—মুহা মহিউদ্দীন খান

* মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক—ফাতেমা তাসনিম জুমা

* বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক—ইকবাল হায়দার

* কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক— উম্মে ছালমা

* আন্তর্জাতিক সম্পাদক—জসীমউদ্দিন খান

* সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক—মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র)

* গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক—সানজিদা আহমেদ তন্বি (স্বতন্ত্র)

* ক্রীড়া সম্পাদক—আরমান হোসেন

* ছাত্র পরিবহন সম্পাদক—আসিফ আব্দুল্লাহ

* সমাজসেবা সম্পাদক—যুবাইর বিন নেছারী (স্বতন্ত্র)

* ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক—মাজহারুল ইসলাম

* স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক—এম এম আল মিনহাজ

* মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক—মো. জাকারিয়া

ব্যক্তি ফরহাদের না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর বিজয়: জিএস নির্বাচিত ফরহাদ  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন জিএস এস এম ফরহাদ

ডাকসু নির্বাচনে জিএস নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘আমার দিক থেকে ব্যক্তিগত অবজারভেশন হচ্ছে জিএস হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের বিজয়। এটি ব্যক্তি ফরহাদের বিজয় হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নাই।’

সব শিক্ষার্থীদের আমানত তাঁদের ওপর অর্পিত হয়েছে বলেন ফরহাদ। তিনি বলেন, যে কয়দিন দায়িত্বে থাকবেন সে কয়দিন যদি ভুল কিছু করেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যেন শুধরে দেন। কোনো বিজয় মিছিল করবেন না বলেও জানান ফরহাদ।

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই প্রতিক্রিয়া জানান ফরহাদ।

শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা আমাদের প্রত্যাশা, সবাই একসঙ্গে কাজ করব: সাদিক কায়েম 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানান ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহ–সভাপতি সাদিক কায়েম। আজ বুধবার সকালে

ডাকসু নির্বাচনে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত সাদিক কায়েম বলেছেন, যে মতের হোক না কেন সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা ক্যাম্পাসকে স্বপ্নের ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলব।’

যারা একসাথে নির্বাচন করেছেন তাঁরা প্রত্যেকে উপদেষ্টা বলেন ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, তাঁরা আমাদের পরামর্শ দেবেন।

জুলাই বিপ্লব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগামী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখবেন বলে জানান তিনি।

দায়িত্বপালনকালে মারা যাওয়া সাংবাদিক ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান সাদিক কায়েম। তিনি সব গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানান ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের নির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম।

ডাকসুতে কারা কোন পদে জয়ী, দেখে নিন এক নজরে 

ডাকসুতে ১৩ সদস্য পদে ১১টিতে ছাত্রশিবির জয়ী, একটিতে স্বতন্ত্র, আরেকটিতে বামপন্থী প্রার্থীর জয় 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সদস্য পদ রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা। একটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অন্যটিতে জয়ী বাম-সমর্থিত প্রার্থী।

ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে জয়ী হলেন

সাবিকুন নাহার তামান্না (১০০৮৪)

সর্ব মিত্র চাকমা (৮৯৮৮)

আফসানা আক্তার (৫৭৪৭)

রায়হান উদ্দীন (৫০৮২)

তাজিনুর রহমান (৫৬৯০)

ইমরান হোসাইন (৬২৫৬)

মিফতাহুল হোসাইন আল-মারুফ (৫০১৫)

মো. রাইসুল ইসলাম (৪৫৩৫)

শাহীনুর রহমান (৪৩৯০)

আনাস ইবনে মুনির (৫০১৫)

মো. বেলাল হোসেন অপু (৪৮৬৫)

বামপন্থী প্যানেল থেকে জয়ী

হেমা চাকমা (৪৯০৮) - সাত বামপন্থী সংগঠনের প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদ

স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী

উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া (৪২০৯)- স্বতন্ত্র

দেখে নিন একনজরে

দেখে নিন এক নজরে, আলোচিত জিএস প্রার্থীরা কে কত ভোট পেলেন

 আলোচিত এজিএস প্রার্থীদের ভোট, দেখে নিন এক নজরে  

জয়ীদের ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানালেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ

ডাকসুনির্বাচনে জয়ীদের ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ বুধবার কাকরাইলে আইডিইবি মুক্তিযোদ্ধা হলে আলোচনাসভায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, 'আমি আজকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাই যাঁরা ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তাঁদের। এটাই গণতন্ত্রের রীতি।'

কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্বাচনে হয়েছিল উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'যেহেতু যাত্রা অনেক বছর পরে হয়েছে, কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল।'

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) মুক্তিযোদ্ধা হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। বিস্তারিত পড়ুন

জয় উপলক্ষে দোয়া ও শব্বেদারি কর্মসূচি ছাত্রশিবিরের, হবে না আনন্দমিছিল

ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনে উল্লসিত ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ ও মুহা. মহিউদ্দীন খান (বাঁ থেকে)। তাঁরা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে দল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জয়ের পর দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এ কর্মসূচির কথা জানান। শিবিরের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, শুকরিয়া আদায় করে দোয়া মাহফিল ও শব্বেদারি (নৈশ ইবাদত)।

এ ছাড়া শহীদদের কবর জিয়ারত এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ছাত্রশিবির।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিবিরের সব মহানগর, শহর, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা শাখাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা বা র‌্যালি আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানায় ছাত্রশিবির।

সর্ব মিত্র চাকমা বললেন, এটা আমার কাছে সংখ্যা না, আস্থা

সর্ব মিত্র চাকমা

ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন সর্ব মিত্র চাকমা।

আজ বুধবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সদস্য পদে সাধারণত ৪ হাজার ৫ হাজার ভোট আসে। কিন্তু ৮ হাজারের বেশি ভোট অনেক মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে সংখ্যা না, এটা আস্থা। এই এক বছরে আমি এই মানুষদের জন্য কাজ করতে চাই।’

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এই প্রতিক্রিয়া জানান সর্ব মিত্র চাকমা।

ডাকসুর জিএস পদে কেউ পেলেন ৬, কেউ ৯ ভোট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। আজ বুধবার সকালে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়েছেন ১৯ জন প্রার্থী। তাঁরা সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৬৭৭ ভোট পেয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট।

অন্যদিকে সবচেয়ে কম, ৬টি ভোট পেয়েছেন মো. নিয়াজ মাখদুম নামের একজন।

তুলনামূলক কম ভোট পেয়েছেন আরও কয়েকজন জিএস প্রার্থী। তাঁরা হলেন—সাইয়াদুল বাশার (৯), মো. শরিফুল ইসলাম ভূইয়া (১৩), মো. সম্রাট ইসলাম (২৪), মো. রকিবুল হাসান মুন্না (২৮), মো. আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার (৩৭) ও মো. নাইম ইসলাম (৩৮)।

ডাকসুর ফলাফলের চূড়ান্ত তালিকা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গণতান্ত্রিক চর্চায় পরাজয় মেনে নিতে আপত্তি নেই: বৈষম্যবিরোধী প্যানেলের আবু বাকের

গণতান্ত্রিক চর্চায় পরাজয় মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।

তিনি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডাকসু ও হল সংসদে যাদের নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।

আজ বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার এ মন্তব্য করেন। ডাকসু নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে তিনি জিএস প্রার্থী ছিলেন।

ফেসবুক পোস্টে আবু বাকের আরও লিখেছেন, ‘গতকাল উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও কিছু জায়গায় অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। তারপরও গণতান্ত্রিক চর্চায় পরাজয় মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি পা ফেলতে গিয়ে আমি শিখেছি। খুব দুঃসময়েও এ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের জন্য সবকিছু বাজি ধরেছি। আমার ছাত্রজীবনের স্বপ্ন ছিল শেখ হাসিনার পতন, সেটি সফল হয়েছে। যতদিন এ ক্যাম্পাসে থাকব, ততদিন আপনাদের সঙ্গেই আছি।’

আবু বাকের মজুমদার ২ হাজার ১৩১ ভোট পেয়েছেন। এই পদে ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন।